আমরা হয়তো কোনো সময় আমাদের ফোনের ব্যালেন্স শেষ হয়ে যায় যার ফরে আমরা কেউর সাথে যোগাযোগ করতে পারি না।
কিন্তু আপনিও যদি জরুরি সময়ে এমন সমস্যার ফেস করেন তাহলে কীভাবে আপনি অন্যের সাখে যোগাযোগ করবেন সেজন্য আমাদের দেশের সিম কোম্পানি গুলো ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স দেওয়ার সিস্টেম চালু করেছিলেন।
সকল সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স আনার নিয়ম |
কিন্তু আপনারা যারা নতুন সিম কিনেছেন তারা হয়তো জানেন না কীভাবে সিমে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে হয়।আপনি সকল সিমে সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন।
আপনি যদি ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেন তাহলে আপনি পরবর্তীতে যখন সিমে টাকা রিচার্জ করবেন তখন সেখান থেকে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স তারা কেটে নিয়ে যাবে এতে করে আপনি পরবর্তীতে আবার ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার আওতায় আসবেন।
আজকের পোস্টে আমি দেখাবো সকর সিমে মানে বাংলাদেশের সকল সিমে কীভাবে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিবেন সেটি।
ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স আনার সুবিধা ও অসুবিধাঃ
আপনি যদি ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স আনেন তবর তার আগে আপনাকে এটির সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জেনে নিতে হবে।
ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স এর সুবিধার মধ্যে হচ্ছে আপনি যেকোনো সময় ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
আপনি ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স দিয়ে অন্যান্য সাধারন ব্যালেন্স এর মতই ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু আপনি ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স দিয়ে মিনিট বা ইন্টারনেট কিনতে পারবেন না।
আপনি মাত্র ১ বারই ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন পরবর্তীতে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে চাইলে আপনাকে আগের টাকা পরিশোধ করতে হবে।
আপনি যেহেতু মিনিট কিনতে পারবেন না তাই এটির কলরেট একটু বেশি এবং এই টাকা দিয়ে ইন্টারনেট চলবে না।
সকল সিমে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার উপায় ২০২২ঃ
আপনি যদি আপনার সকল অপারেটরের সিমগুলোতে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স আনা জানতে চান তবে জানতে পারবেন এই পোস্টটি পড়েই।
আমি নিচে সকল সিমগুলোর ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার উপায় বলবো যেগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার সিমে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন খুব সহজেই।
বাংলালিংক সিমে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার নিয়মঃ
আপনি যদি বাংলালিংক সিমের গ্রাহক হন মানে বাংলালিংক সিম ব্যবহার করেন তাহলে আপনি খুব সহজেই বাংলালিংকে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন।
বাংলালিংক তাদের গ্রাহকদের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার সুবিধাটি রেখেছে এবং আপনি সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন।এই ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স এর লোন পরে আপনার পরবর্তী রিচার্জের পর কেটে নিবে।
বাংলালিংক সিমে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে ডায়াল করুনঃ *874# এবং বাংলালিংক সিমে ইমার্জেন্সি ইন্টারনেট নিতে ডায়াল করুনঃ *875#। ইমার্জেন্সি ইন্টারনেট এর মেয়াদ থাকবে ৪ দিন।
গ্রামীনফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার নিয়মঃ
আপনি যদি বাংলালিংক সিমের মতো গ্রামীনফোন সিমের গ্রাহক হন তবে আপনিও গ্রামীনফোন থেকে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন।
পরবর্তী রিচার্জে ইমার্জেন্সি টাকা কেটে নিবে এবং আপনি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবেন।
গ্রামীনফোন ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে ডায়াল করুনঃ *1010*1# এবং ইমার্জেন্সি ইন্টারনেট নিতে ডায়াল করুন *1010*2#। ইমার্জেন্সি ইন্টারনেট এর মেয়াদ থাকবে ৩ দিন।
রবি নিমে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার নিয়মঃ
আপনি যদি রবি সিমের গ্রাহক হন তবে আপনি ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন।রবি সিমে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে ডায়াল করুন *8811*1#।
আপনি সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন এবং ইমার্জেন্সি ইন্টারনেট নিতে ডায়াল করুন *8811*2#।
এয়ারটেল সিমে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার নিয়মঃ
আপনি ইচ্ছে করলে এয়ারটেল সিমেও খুব সহজেই ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন এবং এই লোন পরিশোধ করে আবার নিতে পারবেন।
রবি সিমে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে ডায়াল করুন *141*10# আপনি সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি নিতে পারবেন।
উপরের সবগুলো অপারেটর থেকে আপনি ইমার্জেন্সি তখনই নিতে পারবেন যখন আপনার মেইন ব্যালেন্স যখন ৯ টাকা বা তার নিচে আসবে।{alertInfo}
উপরে আমি আপনাদের দেখিয়েছি কীভাবে সকল সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে হয়।মোট কথা হলোঃ
- বাংলালিংক সিমে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে ডায়ালঃ *874#
- গ্রামীনফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে ডায়ালঃ *1010*1#
- রবি সিমে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে ডায়ালঃ *8811*1#
- এয়ারটেল সিমে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে ডায়ালঃ *141*10#।
আশা করি আপনি এই পোস্টটি পড়ে খুব সহজেই ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ও ইন্টারনেট নিতে পারবেন।