গ্রামীনফোন ই-সিমের দাম কত? কীভাবে কিনবেন?

গ্রামীনফোন নতুন একটি সিম দেশে শুরু করেছে সেটি হচ্ছে ই-সিম। ই সিম হচ্ছে Embadded সিম যেটি নতুন ভার্সন ফোনগুরো মাদারবোর্ড সাথে ইন্টারনারভাবে যুক্ত থাকবে যেটি কোনো ব্যবহারকারী চাইলেই পরিবর্তন করতে পারবে না।
 এই সিমটি এটি সাধারন পিজিক্যাল সিমের চেয়ে প্রায় ৩ গুন ছোট হয় বলে এটি ফোনের জায়গা কম দখল করে এবং এটি যেহেতু ফোনের সাথে স্থানীভাবে যুক্ত তাই এই সিমটি হারানোর কোনো ভয় নেই। 
গ্রামীনফোন ই-সিমের দাম কত? কীভাবে কিনবেন?

 ই-সিম কী?

  ই-সিম হচ্ছে একটি ইলেক্ট্রনিক সিম যেটি ডিফল্টভাবে ফোনের সাথে যুক্ত থাকবে। এই সিমটি কোনো ব্যবহারকারী চাইলেই আলাদা করতে পারবে না। 
 ই-সিম ব্যবহারের জন্য ফোনে কোনো প্লাস্টেকের সিম ডুকাতে হবে না শুধু ফোনে থাকা ডিফল্ট সিমটিতে কানেক্ট করলেই হবে। ই-সিম যেহেতু ফোনে ডিফল্ট ভাবে থাকবে আলাদাভাবে প্লাস্টিকের সিম ডুকাতে হবে না তাই এ সিমটি অনেকটা পরিবেশ বান্ধব। 
 সম্প্রতি বাংলাদেশের বৃহত্তম মোবাইল ফোন সেবাদাতা গ্রামীনফোন দেশে ই-সিমের ব্যবহার শুরু করেছে। 
 গ্রামীনফোন তাদের ই-সিম এর সার্ভিস ৭মার্স ২০২২ থেকে শুরু করতে যাচ্ছে। ই-সিম আপনি খুব সহজেই গ্রামীনফোন এর স্টোর থেকে এই ইলেক্ট্রনিক সিমটি কিনে নিতে পারবেন। 

 ই-সিমের সুবিধাঃ

 ই-সিমের সুবিধা অনেক যা বলে বুঝানো যাবে না। সাধারন প্লাস্টিকের সিম ফোনে ডুকাতে হতো এবং এটি সংরক্ষণ করতেও কিছুটা সমস্যা হতো।
 কখনো কখনো প্লাস্টিকের সিমটি পর্যন্ত হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে কিন্তু আপনি যদি ই-সিম বংবহার করেন তবে এই সিমটি হারানোর কোনো সম্ভাবনা থাকবে না কারন এটি ফোনের মাদারবোর্ড সংযুক্ত থাকবে। 
 এই সিমটি সাধারন সিমের তুলনায় ৩গুন ছোট বলে এটি ব্যবহারে ফোনের কিছুটা আয়তন কমে যাতে অন্যকোনো যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা যায়। 
 এই সিমটি যেহেতু ফোনের মাদারবোর্ডে থাকবে তাই এটির জন্য প্রতিনিয়ত নতুন প্লাস্টিকের সিম তৈরি করতে হয় না ফলে এটি পরিবেশ বান্ধব। 
 এই সিম থেকে নেটওয়ার্ক যেকোনো সময় বিচ্ছিন্ন করা যাবে আবার যেকোনো সময় নেটওয়ার্ক সংযোগ করা যাবে। 

 গ্রামীনফোন ই-সিমের দাম কত? 

 বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ই-সিম ব্যবহার শুরু করেছে গ্রামীনফোন আপনি খুব সহজেই গ্রামীনফোন স্টোর থেকে সিমটি কিনে নিতে পারবেন। 
 এই সিমটি বর্তমানে গ্রামীনফোন শপে পাওয়া যাবে ৭ মার্চ ২০২২ থেকে আপনি ইচ্ছে করলে খুব সহজেই গ্রামীনফোন শপ থেকে কিনে নিতে পারবেন সার্ভিস। 
 এই ই-সিমটির দাম কত জানেন? এই সিমটির দাম গ্রামীনফোন শপে মাত্র ২০০ টাকা যেটি আপনি আপনার প্রিপেইড বা পোস্ট পেইড সিমে সংযুক্ত করতে পারবেন। 
 এই সিমটি বিনামূল্যে কিনতে পারবেন যারা গ্রামীনফোনের স্টারগ্রাহক তারা এবং সাধারন গ্রাহকগন সিমটি কিনতে ২০০ টাকা খরচ করতে হবে। 
 ৭ মার্চ ২০২২ থেকে যেগুলোর জন্য ই-সিম প্রযোজ্য হবে: 
  •  প্রিপেইড (নিশ্চিন্ত) 
  •  পোস্টপেইড (মাই প্ল্যান) 
  •  রিপ্লেসমেন্ট (প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড)
 বর্তমানে সকল বিজনেস সল্যুশন (প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড) গ্রাহকরা এই সুযোগের বাইরে থাকবেন মানে ই-সিম ব্যবহার করতে পারবেন না। 

 ই-সিম যেভাবে এক্টিভেট করবেনঃ

  •  প্রথমে আপনি গ্রামীনফোন স্টোরে যাবে এবং আপনি একটি ই-সিম কিনবেন। 
  •  সিম সাধারন সিম কিনার মতো একটি নাম্বার বাচাই করবেন এবং সিম বাচাই করা সম্পূর্ণ করে আপনার আইডি কার্ড দিয়ে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সম্পর্ন করবেন।
  •  তারপর আপনার ফোনে (ই-সিম সাপোর্টেড) ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন চালু করবেন এবং ফোনের ই-সিম অপশন থেকে একটি কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। কিউআর কোডটি আপনি সিমের বাক্সে পেয়ে যাবেন এটি স্ক্যান করবেন।
  •  তারপর আপনার ফোনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে এবং এভাবে আপনি আপনার সিমটি এক্টিভেট করতে পারবেন।
উপরে ই-সিম নিয়ে অনেক কথা বললাম নিশ্চয়ই আপনি ই-সিম কী তা জেনে গেছেন। এবং ই-সিম কিনতে কত টাকা খরচ হবে সেটিো দেখালাম আমি আবারো বলছি গ্রামীনফোন ই-সিম কিনতে ২০০ টাকা খরচ হবে। 
তবে যারা গ্রামীনফোনে স্টার গ্রাহক তারা এই সিমটি বিনামূল্যে কিনতে পারবেন। উপরে এই পোস্টে আমি আপনাদের দেখালাম গ্রামীনফোনের ই-সিমের দাম কত সেটি আপনার যদি কোনো অংশ বোঝতে অসুবিধা হয় তাহলে কমেন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য

Marzuk Neil

জানতে চাই এবং অন্যকে জানাতে চাই✨ তাই বাংলা টেকনোলজি বিষয়ক এই ব্লগটি খোলা হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form