বিকাল বেলায় যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত নয়
- বিকালে যে খাবার খাওয়া উচিত হয় কিংবা হয় না। এই সম্বন্ধে সচেতন না হলে অনেকটা সমস্যায় পড়তে হবে। অতিরিক্ত মসলা ও তেলে ভরা খাবার খাওয়া উচিত নয়।
- তারপরেও যদি সবজি ও গরুর মাংসে প্রচুর খাবার উপস্থিত থাকে তবে তাদের পরিমাণ কম করতে হবে।
- গরুর মাংসে বেশি তেল ও স্পাইসি খাবার উচিত নয়। তাই যদি গরুর মাংস খাওয়া হয় তবে বেশি লেজ ও মসলা না দিয়ে তৈরি করা খাবার উপভোগ করা যেতে পারে।
- সবজি খাওয়া উচিত হয়। বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং পরিমাণ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ডিশ তৈরি করা সম্ভব।
- চিনি ও মিষ্টি খাবার সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশে এই ধরণের খাবার উচিত নয়।
- বিকাল বেলায় চায় ও কফি খাওয়া উচিত নয়। চা ও কফির জন্য সবচেয়ে ভালো সময় সকালের বেলা।
বিকাল বেলায় যে খাবার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর
বিকাল বেলায় খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে কারণ এটি পাচনশক্তি ও উচ্চ রক্তচাপ এমন সমস্যার কারণে সমস্যার উত্থাপন করতে পারে। তবে বিকালে খাবার খাওয়া কোনো প্রকার আজ্ঞা নেই যে এটি খুব ক্ষতিকর। কিন্তু অনেক কিছু খেতে উচিত নয় যেমন অতিরিক্ত প্রচুর পরিমাণে তেল বা মসলা যুক্ত খাবার, ভারী খাবার, স্পাইসি খাবার, বেশি চিনি ও মিষ্টি খাবার ইত্যাদি। আর সম্পূর্ণ খালি পেটে চা বা কফি পান করা উচিত নয়।
বিকালে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হলে যে কিছু খাবার খাওয়া উচিত সেগুলো হলোঃ
- ১. সবজি এবং ফল
২. দুধ এবং দুধ জাত পণ্য
৩. মাছ ও চিংড়ি ইত্যাদি সমুদ্র জীবন
৪. চিকেন ও টার্কি মাংস (লেজ ও মসলা না দিয়ে তৈরি করা খাবার উপভোগ করতে পারেন)
কারণ বিকাল বেলায় পাচনশক্তি কম থাকে এবং সময়ও বেশি নেয় খাবার পাচনের জন্য, তাই খাবারে অতিরিক্ত মসলা বা তেল যুক্ত হওয়া উচিত নয়। এছাড়া খাবার হলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ থাকলে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
- ৫. ভাজা খাবার যেমন ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ, পপকর্ন, সেণ্ডউইচ ইত্যাদি
- ৬. চিপস, বিস্কুট, চকলেট ইত্যাদি খুব কম খাওয়া উচিত
- ৭. চা ও কফি খাওয়ার আগে বাড়তি চিনি যুক্ত না করা উচিত
- ৮. তাজা ফলসমূহ বা ফলসমূহের জুস খাওয়া উচিত
বিকালে খাবার খেয়ে নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। সম্ভব হলে নিয়মিত রোজানা বিকালে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
বিকেল বেলায় সঠিক খাবার গ্রহণ করার উপকারিতা
বিকেল বেলা খাবার গ্রহণ করা একটি ভালো অভ্যাস। সঠিক খাবার গ্রহণ করার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু উদাহরণ হলোঃ
১. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য হয়।
২. পাচনশক্তি উন্নত হয় এবং সমস্ত খাবার উপভোগ করা সহজ হয়।
৩. শরীরের তন্দ্রাচ্ছন্নতা কমে যায় এবং প্রচুর শক্তি অর্জন করা সম্ভব হয়।
৪. সঠিক খাবার গ্রহণ করলে রোগ প্রতিরোধ বাড়ায় এবং শরীরের স্বাস্থ্যকে উন্নত রাখা যায়।
৫. সঠিক পুষ্টিমুলক খাবার গ্রহণ করা সম্ভব হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য হয়।
তাই বিকেল বেলা সঠিক খাবার গ্রহণ করা একটি মূল্যবান অভ্যাস।
বিকেল বেলায় যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত
- বিকেল বেলায় স্বাস্থ্যকর ও উপকারী খাবার গ্রহণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এ সময়ে খাবার পাচন সম্পর্কিত প্রবলেম হতে পারে যা সেই সময়ে সেহতকে ক্ষতিকর করতে পারে। সঠিক খাবার গ্রহণ করলে পাচনশক্তি বাড়বে এবং স্বাস্থ্যের সমস্যার হওয়ার ঝুঁকি কমতে পারে।
কিছু সঠিক খাবার বিকেল বেলায় খাওয়া উচিত
১. সবজি এবং ফল: সবজি এবং ফল স্বাস্থ্যকর এবং উপকারী খাবার। এগুলো পাচন করা সহজ এবং বহুল আমলযুক্ত, যা খাবারের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে কাজ করতে সহায়তা করে।
২. দুধ এবং দুধ জাত পণ্য: দুধ, চিজ এবং ইউগার ফ্রুট জাত পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং সহজপাচন। এগুলো ভিটামিন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য মিনারল পূর্ণ হয়ে থাকে।
৩. হাঁড়ি শাক: হাঁড়ি শাক পাচন সহজ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। এটি ফোলেট অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি এবং এ এর সুষম উৎস হওয়ায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৪. সসপেন্ডিড ওটস: সসপেন্ডিড ওটস একটি মধুর স্বাদের খাবার এবং খুব স্বাস্থ্যকর কারণ এটি পাচন সহজ এবং ফাইবার ও স্টার্চ যুক্ত হওয়ায় এটি পাচন সম্পর্কিত সমস্যার রোধ করে।
৫. ডিম: ডিম সবচেয়ে উপকারী প্রোটিনের একটি উৎস এবং খুব সহজ পাচন হয়। ডিমে থাকা বিটামিন ও মিনারলগুলো স্বাস্থ্যের উপকারিতা বৃদ্ধি করে।
৬. হাঁড়ি বাটি: হাঁড়ি বাটি একটি স্বাস্থ্যকর এবং সহজপাচন খাবার যা স্বাস্থ্যকর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং মিনারলগুলো উপকারে আনে।
৭. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: বিকেল বেলায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে, যেমন মাংস, মাছ, ডিম, লেন্টিলস, পেঁয়াজ, ডাল ইত্যাদি। এগুলো শরীরের প্রোটিন প্রয়োজনের সুপারিশকৃত খাবার।
৮. অভ্যন্তরীণ খাবার: বিকেল বেলায় অভ্যন্তরীণ খাবার খেতে হবে, যেমনঃ ব্রাউন রাইস, ব্রেড, পাস্তা ইত্যাদি। এগুলো ভাল কারণ এগুলো দেহের উপর ভার প্রদান না করে তাই পাচন সম্পর্কিত সমস্যার ঝুঁকি কম থাকে।
৯. হিংসাত্মক খাবার এড়াতে থাকবেন না: বিকেল বেলায় হিংসাত্মক খাবার খেতে থাকবেন না, যেমনঃ বিফ, পর্দবিন, চিকেন ইত্যাদি। এগুলো পাচন সম্পর্কিত সমস্যার উদ্ভাবন করতে পারে এবং সেহতকে ক্ষতিকর করতে পারে।
১০. প্রোটিন যুক্ত খাবার: প্রোটিন খাদ্য একটি মূলত উচ্চ পাচনশক্তি থাকা খাবার। এর মধ্যে মাংস, মাছ, ডিম, লেন্টিল এবং সয়াবিন সম্মিলিত থাকে। এগুলো প্রোটিন, বিটামিন এবং ক্যালসিয়াম সহ অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান সম্পন্ন থাকে।
১১. হিংসা মুক্ত খাবার: হিংসা মুক্ত খাবার স্বাস্থ্যকর এবং জীবনযাপনের দিক থেকে অনেক উপকারী। এদের মধ্যে সবজি, ফল, খাদ্যার্থ এবং ভেজিটেবল বেইসড ফুড থাকে।
১২. গোল প্রকৃতির খাবার: গোল প্রকৃতির খাবার সহজ পাচনশক্তি রাখে এবং খাদ্য রসায়ন নিয়ন্ত্রণ করে। এদের মধ্যে রুটি, ডাল, চাল, স্যুপ এবং সবুজ শাক থাকে।
The post বিকাল বেলায় যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত নয় appeared first on Trickbd.com.