বিভিন্ন কারণে অনেক সময় আমাদের বিকাশ পিন লক হয়ে যায়। বিকাশ পিন বা পাসওয়ার্ড লক হয়ে গেলে আমরা চিন্তায় পড়ে যাই। কারণ যদি আমাদের বিকাশ পিন লক হয় তাহলে আমরা সেই বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করতে পারি না। যেহেতু বিকাশ একাউন্ট আর্থিক লেনদেন করার জন্য ব্যবহার হয় অর্থাৎ বিকাশ একাউন্টে টাকা থাকে তাই আমাদের চিন্তার পরিমাণ আরো বেশি হয়।
তবে বিকাশ পিন লক হলে আপনারা চিন্তা না করে খুব সহজেই বিকাশ পিন লক খুলতে পারবেন। বিকাশ পিন লক খোলার নিয়ম রয়েছে যে নিয়মে আপনারা খুব সহজেই বিকাশ পিন লক খুলতে পারবেন। যদি আপনারা বিকাশ পিন লক খোলার পদ্ধতি না জানেন তাহলে এই টিউটোরিয়াল আপনার জন্য। আমি এই টিউটোরিয়ালে আপনাদেরকে বিকাশ পিন লক খোলার উপায় দেখাবো।
এছাড়াও আপনারা এই টিউটোরিয়াল থেকে বিকাশ পিন লক হলে করণীয় এবং বিকাশ পিন লক হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। বিকাশ পিন লক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো টিউটরিয়াল পড়তে ভুলবেন না।
বিকাশ পিন লক হলে করণীয়.. |
বিকাশ পিন লক হওয়ার কারণ - বিকাশ পাসওয়ার্ড লকঃ
বিকাশ পিন লক হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে যেগুলো আমাদের জানতে হবে। বিকাশ পিন লক সাধারণত তিনবার ভুল পাসওয়ার্ড দেওয়ার ফলে হয়ে থাকে। অর্থাৎ যদি আপনি আপনার বিকাশ একাউন্টে লগইন করার সময় তিনবার ভুল পাসওয়ার্ড দেন তাহলে আপনার বিকাশ পিন লক হয়ে যাবে।
শুধু আমাদের বিকাশ লগ-ইন নয়, আপনারা বিকাশে লেনদেন করার সময় অথবা যেকোনো কাজে পাসওয়ার্ড দেয়ার সময় যদি একসাথে তিন বার ভুল পাসওয়ার্ড দেন তাহলে আপনার বিকাশ পাসওয়ার্ড লক হয়ে যাবে। সাধারণত এই কারণেই বিকাশ পিন লক হয়ে থাকে। এছাড়াও কেউ আপনার ক্ষতি করতে আপনার মোবাইল হাতে নিয়ে বিকাশ একাউন্টে বারবার লগ-ইন করার চেষ্টা করতে পারে।
যদি কেউ আপনার মোবাইল হাতে নিয়ে বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার অথবা বের করতে চায় তাহলে সে বারবার লগ-ইন করার চেষ্টা করবে। যদি সেই ব্যক্তি আপনার বিকাশ একাউন্টের পাসওয়ার্ড না জানে তাহলে তিনবার ভুল পাসওয়ার্ড দেওয়ার ফলে আপনার বিকাশ পিন লক হবে। এই সকল কারণেও বিকাশ পিন লক হয়ে থাকে। এই কারণে বিকাশের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে আমাদের কখনোই পরপর তিনবার ভুল পাসওয়ার্ড দেয়া উচিত নয়।
বিকাশ পিন লক হতে সুরক্ষিত থাকার উপায়ঃ
বিকাশ পিন লক হওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে আপনার বিকাশ একাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে হবে। সাধারণত বিকাশে তিনবার ভুল পাসওয়ার্ড দেয়ার কারণে আমাদের বিকাশ পিন লক হয়ে থাকে। এখন যদি আপনি বিকাশ পিন ভুলে যান তাহলে আপনাকে সেই বিকাশের পিন রিসেট করতে হবে।
মনে করেন আপনি দুইবার বিকাশের পিন দিয়ে দেখলেন যে আপনার দেওয়া বিকাশের পাসওয়ার্ড মিলছে না। এই অবস্থায় তৃতীয়বার পাসওয়ার্ড না দিয়ে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কথা বলে আপনার বিকাশ পিন রিসেট করে নিবেন। তবে আপনারা বিকাশ পিন রিসেট করার নিয়ম জানতে নিচের দেয়া আর্টিকেল পড়তে পারেন -
জেনে নিনঃ বিকাশ পিন ভুলে গেলে করনীয় ও বিকাশ পিন রিসেট করার নিয়ম
বিকাশ পিন লক হলে করণীয়ঃ
বিকাশ পিন লক হলে আমরা সেই বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করতে পারি না। কারণ যদি আমাদের বিকাশ পিন লক হয় তাহলে আমাদেরকে বিকাশের পিন রিসেট করার মাধ্যমে পুনরায় বিকাশ একাউন্টে লগইন করতে পারবো। অর্থাৎ যদি আপনি ভুলবশত বিকাশ পিন লক করে ফেলেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিকাশ পিন রিসেট করতে হবে।
যদি আপনি লক হওয়া বিকাশ একাউন্টের মালিক হন তাহলে খুব সহজেই সেই বিকাশ পিন লক খুলতে পারবেন। সাধারণত বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কথা বলে আমরা খুব সহজেই বিকাশ পিন লক খুলতে পারি। এছাড়াও আপনারা নিকটস্থ বিকাশ অফিসে গিয়ে আপনার বিকাশ পিন লক খুলতে পারবেন। তবে যে সকল পদ্ধতিতে বিকাশ পিন লক খুলতে পারবেন তা জানতে বিস্তারিত আর্টিকেল পড়ুন -
বিকাশ প্রতিনিধির সাথে কথা বলে বিকাশ পিন লক খোলার উপায়ঃ
বিকাশ একাউন্টের সমস্যা হলে সেই সমস্যার সমাধান করার সব থেকে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে বিকাশ প্রতিনিধির সাথে কথা বলা। আমরা বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কল করে খুব সহজেই বিকাশ প্রতিনিধির সাথে কথা বলে আমাদের বিকাশ একাউন্টে সমস্যার সমাধান করতে পারি। এভাবে বিকাশ পিন লক হয়ে গেলে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কল করে কথা বলে সেই সমস্যার সমাধান করতে পারব।
যেভাবে আপনারা বিকাশ প্রতিনিধির সাথে কথা বলে বিকাশ পিন লক খুলবেনঃ
- প্রথমে আপনাকে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কল করতে হবে। বিকাশ কাস্টমার কেয়ার কল নাম্বার হচ্ছে 16247
- আপনার বিকাশ একাউন্টের নাম্বার দিয়ে কল দিবেন। অর্থাৎ অন্য নাম্বার ব্যবহার করে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কল করলে তারা আপনাকে সাহায্য করবে না।
- বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কল করার পর আপনি যে বিকাশ একাউন্টের পাসওয়ার্ড লক খুলতে চাচ্ছেন তা তাদেরকে জানাতে হবে।
- বিকাশ কাস্টমার কেয়ার থেকে আপনার বিকাশ একাউন্ট এর সকল তথ্য জানতে চাইবে।
- সাধারণত তারা আপনার বিকাশ একাউন্ট যে এনআইডি কার্ড দিয়ে তৈরি করেছেন সেই এনআইডি কার্ডের নাম্বার জানতে চাইবে। এই কারণে এনআইডি কার্ড সাথেই রাখবেন। এছাড়াও আপনার এনআইডি কার্ডে থাকা জন্মসাল জানতে চাইতে পারে।
- অতঃপর আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে সর্বশেষ 2 টি লেনদেনের তথ্য জানতে চাইবে। আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে লেনদেন করা তথ্য জানাবেন। যদি আপনার মনে না থাকে তাহলে সেটাও বলবেন। তবুও ভুল বলবেন না।
যদি আপনারা বিকাশ প্রতিনিধির কাছে সকল তথ্য সঠিক ভাবে দিতে পারেন তাহলে আপনার বিকাশ পিন লক তারা খুলে দেবে। অর্থাৎ আপনারা উপরে দেয়া তথ্যগুলো বিকাশ প্রতিনিধিকে জানানোর মাধ্যমে মাধ্যমে আপনার বিকাশ পিন লক খুলতে পারবেন।
সরাসরি বিকাশ অফিসে গিয়ে বিকাশ পিন লক খোলার নিয়মঃ
আপনারা চাইলে সরাসরি বিকাশ অফিসে গিয়ে বিকাশ পিন লক খুলতে পারবেন। বিকাশ অফিসে গিয়ে বিকাশ পিন লক খুলতে চাইলে আপনাকে প্রথমে নিকটস্থ কোনো বিকাশ অফিসে যেতে হবে। নিকটস্থ বিকাশ অফিসে যাওয়ার পর সেই বিকাশ অফিসে থাকা বিকাশ প্রতিনিধির সাথে আপনার সমস্যার কথা আলোচনা করবেন।
তবে বিকাশ অফিসে গিয়ে বিকাশ পিন লক খুলতে চাইলে আপনাকে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে হবে -
- আপনাকে অবশ্যই এনআইডি কার্ড সাথে নিয়ে যেতে হবে। যদি বিকাশ একাউন্টের এনআইডি কার্ড আপনার না হয় তাহলে যার এনআইডি কার্ড দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন তাকে এবং তার এনআইডি কার্ড নিয়ে অবশ্যই বিকাশ অফিসে যাবেন।
- অতঃপর বিকাশ প্রতিনিধিকে বলবেন যে আপনার বিকাশ পিন লক হয়ে গেছে এবং আপনি বিকাশ পিন লক খুলতে চাচ্ছেন।
- বিকাশ প্রতিনিধিরা আপনার বিকাশ একাউন্ট এর সকল তথ্য দেখবে।
- যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনার বিকাশ পিন লক তারাই খুল দেবে।
এভাবে আপনারা সরাসরি বিকাশ অফিসে গিয়ে বিকাশ পিন লক খুলতে পারবেন। বিকাশ পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বা বিকাশ পিন লক খুলতে চাইলে এটাও একটি ভাল পদ্ধতি।
এই ছিলো বিকাশ পিন লক হলে খোলার উপায়। আমি এই পোস্টে আপনাদেরকে বিকাশ পাসওয়ার্ড লক হলে খোলার দুটি উপায় দেখিয়েছি। আপনার উপরে দেয়া দুটি নিয়মে খুব সহজেই বিকাশ পাসওয়ার্ড লক হলে খুলতে পারবেন। আশা করছি বিকাশ পিন লক হলে সেই বিকাশ পিন লক খুলতে আপনার কোন ঝামেলা হবে না।
আরো পড়ুনঃ বিকাশের লেনদেন দেখার নিয়ম
পরিশেষে বলতে চাচ্ছি -
আশা করছি আপনারা বিকাশ পিন লক হলে করণীয় এবং বিকাশ পিন লক খোলার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনাদের কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন। এছাড়াও যদি এই টিউটোরিয়াল আপনাদের ভালো লাগে এবং কাজে আসে তাহলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।